মেনু নির্বাচন করুন

ভিশন ২০২১

ভিশন ২০২১ হল- দরিদ্রতা, নিরক্ষতা, বেকারত্ব, ক্ষুধা ও দুর্নীতিমুক্ত সুস্থ সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করা । | ডিজিটাল বাংলাদেশ হল- বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরের কার্যক্রম, কার্য পদ্ধতি, উন্নয়ন কৌশল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক হওয়া । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঠিক বাস্তবায়নের জন্য প্রয়ােজন দক্ষ জনশক্তি । আর দক্ষ জনশক্তি তৈরীতে

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার বিকল্প নেই। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার | গুরুত্ব অপরিসীম। | ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন তথা দরিদ্র বিমােচন, কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি, আত্ন-কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, | উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশকে মধ্য আযের দেশে উন্নীত করার জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণ প্রয়ােজন। কারিগরি শিক্ষার মানােন্নয়ন, দেশে অধিকতর জনগােষ্ঠিকে

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক কর্মমূখী শিক্ষায় উদ্বুদ্ধকরণ, এ শিক্ষায় শিক্ষিত জনগােষ্ঠির সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি এবং | দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম।

একবিংশ শতাব্দীর প্রতিযােগিতাপূর্ণ বিশ্বে, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে তথ্য প্রযুক্তির মত সর্বজনীন প্রযুক্তির বহুল ব্যবহার সর্বক্ষেত্রে নিশ্চিত করা প্রয়ােজন। আর এটাই হলাে ডিজিটাল বাংলাদেশ” শ্লোগানের লক্ষ্য। যা বর্তমান সরকার অঙ্গিকার হিসাবে গ্রহণ করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হলাে তথ্য প্রযুক্তিসহ অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তির দক্ষ প্রয়ােগে সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ। ১৫ কোটি মানুষের এই দেশে একমাত্র উদ্বৃত্ত হলাে জনসংখ্যা, যার উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় এখনও জাতি হিমশিম খাচ্ছে। তবে এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশটিকে যদি মাথা উচু করে দাঁড়াতে হয় তাহলে তা মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমেই হতে হবে । যা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে সম্ভব । তাই দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু সমাজ এখনও এ তথ্য বুঝতে পারছে না। এ বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা কম। এর জন্য। সরকারী ভাবে জন সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়ােজন। এ বিষয়ে জনগনের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আনয়নের কার্যকর। ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়ােজন। বৈদেশিক কর্মসংস্থানেও কারিগরি শিক্ষার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। একজন অদক্ষ শ্রমিক বিদেশে শ্রম দিয়ে যে অর্থ | উপার্জন করছে, তার চেয়ে অধিক অর্থ উপার্জন করা যায় স্বল্প মেয়াদী কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশে গেলে ।

এতে অধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি বৈদেশিক চাকুরী বাজারে আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় হবে।